KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
হযরত আলী, অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীদের প্রতিষ্ঠিত আমল 20 কুড়ি রাক্আত তারাবীহ Mufti Amjad Hussain Simnani
হযরত আলী, অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীন রাদিয়াল্লাহু আনহুম কুড়ি রাক্আত তারাবীহ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। 🌼হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু কুড়ি রাক'আত তারাবীহ প্রতিষ্ঠা করেছেন ﻋﻦ اﺑﻦ ﺃﺑﻲ اﻟﺤﺴﻨﺎء، «ﺃﻥ ﻋﻠﻴﺎ ﺃﻣﺮ ﺭﺟﻼ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻬﻢ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ অর্থাৎ! ইবনে আবি হাসানায়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এক ব্যক্তি কে লোকজনদের নিয়ে রমাদান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করার নির্দেশ দিলেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7681,, আল-ইযতিযকার খন্ড-2 পৃষ্ঠা-70,, মুখতাসার ইখতেলাফুল উলামা খন্ড-1 পৃষ্ঠা-312,, উমদাতুল কারী খন্ড-11 পৃষ্ঠা-127,, আল-ইবানাতুল কুবরা খন্ড-8 পৃষ্ঠা-397,, তারগীব লি-কেওয়াম খন্ড-2 পৃষ্ঠা-368 হাদিস নং-1789,, আশ-শারিয়াহ লি-আজুরী খন্ড-4 পৃষ্ঠা-1781 }} ﻋﻦ ﺃﺑﻲ اﻟﺤﺴﻨﺎء , ﺃﻥ ﻋﻠﻴﺎ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ «ﺃﻣﺮ ﺭﺟﻼ ﺃﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺧﻤﺲ ﺗﺮﻭﻳﺤﺎﺕ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ অর্থাৎ! হযরত আবুল হাসানা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু জনৈক ব্যক্তি কে লোকজনদের রমাদান মাসে পাঁচ তারবীহার সহিত বিশ রাক'আত তারাবীহ আদায় করার নির্দেশ দেন। {{ আশ-শারীয়াহ লিল আজুরী খন্ড-4 পৃষ্ঠা-1781 হাদিস নং-1240,, আল-ইবানাতুল কুবরা খন্ড-8 পৃষ্ঠা-398,, সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং-4292 }} ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﺒﺪ اﻟﺮﺣﻤﻦ اﻟﺴﻠﻤﻲ، ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ: " ﺩﻋﺎ اﻟﻘﺮاء ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻓﺄﻣﺮ ﻣﻨﻬﻢ ﺭﺟﻼ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ " অর্থাৎ! আবু আব্দুর রাহমান সালামী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু রমাদান মাসে ক্বারীদের ডেকে তাদের মধ্য হতে একজন ব্যক্তি কে লোকজনদের নিয়ে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করার নির্দেশ দেন। {{ সুনানে কুবরা বাইহাকী খন্ড-2 পৃষ্ঠা-699 হাদিস নং-4291 }} 🌀 ইমাম তিরমিযী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতানুযায়ী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে ২০ রাকাত তারাবীহ সঠিক ও গ্রহনযোগ্য সুত্রে প্রমাণিত। 🌼 অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈন রাদিয়াল্লাহু আনহুম কুড়ি রাক'আত তারাবীহ প্রতিষ্ঠা করেছেন ﻋﻦ اﻟﺴﺎﺋﺐ ﺑﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺃﻧﻬﻢ ﻛﺎﻧﻮا ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺑﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ অর্থাৎ! সাঈব বিন ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তাঁরা রমাদান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করতেন। {{ মুখতাসার ইখতেলাফুল উলামা খন্ড-1 পৃষ্ঠা-312 }} ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ، ﻗﺎﻝ: (ﻛﺎﻥ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻳﺼﻠﻲ ﻟﻨﺎ ﻓﻲ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ) ﻓينصرﻑ ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻟﻴﻞ، ﻗﺎﻝ اﻷﻋﻤﺶ: ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ) . অর্থাৎ! হযরত যায়েদ বিন ওহাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রমাদান মাসে আমাদের তারাবীহ পড়াতেন। তিনি রাতের কিছু অংশ থাকতে তারাবীহ সমাপ্ত করতেন। হযরত আ'মাশ বলেন, তিনি কুড়ি রাক'আত তারাবীহ ও তিন রাক'আত বিতর আদায় করতেন। {{ উমদাতুল কারী খন্ড-11 পৃষ্ঠা-127,, মাজমাউয যাওয়াঈদ খন্ড-3 পৃষ্ঠা-132 হাদিস নং-5019 }} ✴️ ইমাম হাইসামী রাহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- ﺭﻭاﻩ اﻟﻄﺒﺮاﻧﻲ ﻓﻲ اﻟﻜﺒﻴﺮ، ﻭﺭﺟﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ اﻟﺼﺤﻴﺢ অর্থাৎ! হাদীসটি ইমাম তাবরানী "মু'জামে কাবীর" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যার রাবীগণ বিশ্বস্ত ও সহীহ। ﻛﺎﻥ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺟﺒﻴﺮ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻨﺎ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺃﺭﺑﻌﺔ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻭﻛﺎﻥ ﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ অর্থাৎ! হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের রমাদান মাসে চব্বিশ রাক'আত (চার রাক'আত ইশার ফরয ও বিশ রাক'আত তারাবীহ) নামাজ পড়াতেন এবং তিন রাক'তের সহিত বিতর আদায় করতেন। {{ মুসনাদুশ শামিয়ীন খন্ড-3 পৃষ্ঠা-284 }} ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻗﻴﺲ، ﻋﻦ ﺷﺘﻴﺮ ﺑﻦ ﺷﻜﻞ: «ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭاﻟﻮﺗﺮ অর্থাৎ! হযরত শুতাইর বিন শাকল রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই তিনি রমাদান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ অতঃপর বিতর নামাজ আদায় করতেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7680,, ফাযাইলি আওকাত বাইহাকী খন্ড-1 পৃষ্ঠা-276 }} ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻭﻛﻴﻊ، ﻋﻦ ﻧﺎﻓﻊ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ، ﻗﺎﻝ: " ﻛﺎﻥ اﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻠﻴﻜﺔ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻨﺎ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ অর্থাৎ! হযরত নাফেয় বিণ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত ইবনে আবী মুলাইকা রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে রমাদান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ পড়াতেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7683,, তারগীব লি-কেওয়াম খন্ড-2 পৃষ্ঠা-368 হাদিস নং-1791 }} ✴️ ইমাম নিমাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, واسناده صحيح অর্থাৎ! হাদিসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। {{ আসারুস সুনান}} ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻌﺰﻳﺰ ﺑﻦ ﺭﻓﻴﻊ ﻗﺎﻝ: «ﻛﺎﻥ ﺃﺑﻲ ﺑﻦ ﻛﻌﺐ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺑﺎﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻭﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ অর্থাৎ! হযরত আব্দুল আজিজ বিন রাফীয় রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত উবাই বিন কা'ব রাদিয়াল্লাহু আনহু রমাদান মাসে মদীনা শরীফে লোকজনদেরকে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ ও তিন রাক'আত বিতর নামাজ পড়াতেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7684 }} ✴️ ইমাম নিমাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- اسناده مرسل قوي অর্থাৎ! হাদিসটি সহীহ মুরসাল সনদে বর্ণিত হয়েছে। {{ আসারুস সুনান }} ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺇﺳﺤﺎﻕ، ﻋﻦ اﻟﺤﺎﺭﺙ: «ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺆﻡ اﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺑﺎﻟﻠﻴﻞ ﺑﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻭﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ، ﻭﻳﻘﻨﺖ ﻗﺒﻞ اﻟﺮﻛﻮﻉ» অর্থাৎ! হযরত আবু ইসহাক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। হযরত হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহু লোকজনদের রমজান মাসের রাত্রিতে ইমামতি করতেন কুড়ি রাক'আত তারাবীহ ও তিন রাক'আত বিতর নামাজের সহিত এবং তিনি রুকুর পূর্বে কুনূত পাঠ করতেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7685 }} ﻋﻦ ﺃﺑﻲ اﻟﺒﺨﺘﺮﻱ: «ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﺧﻤﺲ ﺗﺮﻭﻳﺤﺎﺕ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ অর্থাৎ! হযরত আবু বুখতারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই তিনি রমাদান মাসে পাঁচ তারবীহার ( চার রাক'আতে এক তারবীহা গণ্য হয়) সহিত তারাবীহ নামাজ আদায় করতেন এবং তিন রাক'আত বিতর নামাজ আদায় করতেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7686 }} ﻋﻦ ﻋﻄﺎء ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺭﺑﺎﺡ، ﻗﺎﻝ: ﻛﺎﻧﻮا ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻓﻲ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻭاﻟﻮﺗﺮ ﺛﻼﺛﺎ অর্থাৎ! হযরত আতা বিন আবু রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারা রমজান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ ও তিন রাক'আত বিতর নামাজ আদায় করতেন। {{ ফাযাইলে রামজান লি-ইবনে আবী দুনিয়া খন্ড 1 পৃষ্ঠা 79 হাদিস নং-49 }} ﻋﻦ ﻋﻄﺎء، ﻗﺎﻝ: «ﺃﺩﺭﻛﺖ اﻟﻨﺎﺱ ﻭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﺛﻼﺛﺎ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﺑﺎﻟﻮﺗﺮ অর্থাৎ! হযরত আতায়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি লোকজনদেরকে বিতরের নামাজ সহ তেইশ রাক'আত নামাজ আদায় করতে পেয়েছি। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7688,, আল-ইযতিযকার খন্ড-2 পৃষ্ঠা-70,, শারহে সাহীহিল বুখারী ইবনে বাতাল খন্ড-3 পৃষ্ঠা-141 }} ✴️ ইমাম নিমাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদিস সম্পর্কে বলেন, اسناده حسن হাদিসটি হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে। {{ আসারুস সুনান }} সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! হযরত আত্বা ইবনে আবী রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হলেন, সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্বস্ত ও প্রসিদ্ধ তাবেয়ী। তিনি নিজ জীবনে অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম ও বিখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ তাবেঈন গণের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেছেন। তাঁর কথা মতে সেই সময়ের সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম এবং বিখ্যাত, প্রসিদ্ধ ইমাম ও মুজতাহিদ তাবেঈনে এজাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করতেন। যা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে এজামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ও আমল অনুযায়ী তারাবীহের রাক'আত সংখ্যা হল কুড়ি। ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ، «ﺃﻥ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺭﺑﻴﻌﺔ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻬﻢ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺧﻤﺲ ﺗﺮﻭﻳﺤﺎﺕ، ﻭﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ অর্থাৎ! হযরত সাঈদ বিন ওবায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আলী বিন রাবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু লোকজনদেরকে পাঁচ তারবীহার সহিত (কুড়ি রাক'আত) তারাবীহ ও তিন রাক'আত বিতর নামাজ পড়াতেন। {{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-163 হাদিস নং-7690 }} ✴️ ইমাম নিমাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, اسناده صحيح অর্থাৎ! হাদিসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। {{ আসারুস সুনান }} ﺃﺑﻮ اﻟﺨﺼﻴﺐ ﻗﺎﻝ: " ﻛﺎﻥ ﻳﺆﻣﻨﺎ ﺳﻮﻳﺪ ﺑﻦ ﻏﻔﻠﺔ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻓﻴﺼﻠﻲ ﺧﻤﺲ ﺗﺮﻭﻳﺤﺎﺕ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ " অর্থাৎ! হযরত আবু খুসাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত সুয়াঈদ বিন গাফলাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু রমাদান মাসে আমাদের ইমামতি করতেন। তিনি পাঁচ তারবীহার সহিত কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করতেন। {{ সুনানে কুবরা বাইহাকী খন্ড-2 পৃষ্ঠা-699 হাদিস নং-4290,, ফাযাইলি আওকাত বাইহাকী খন্ড-1 পৃষ্ঠা-276 }} ✴️ ইমাম নিমাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, واسناده حسن অর্থাৎ! হাদিসটি হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে। {{ আসারুস সুনান }} ﺃﺑﻮ اﻟﺨﻀﻴﺐ ﻗﺎﻝ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﻣﻮﺳﻰ ﻗﺎﻝ ﻧﺎ ﺟﻌﻔﺮ ﺑﻦ ﻋﻮﻥ ﺳﻤﻊ ﺃﺑﺎ اﻟﺨﻀﻴﺐ اﻟﺠﻌﻔﻲ ﻛﺎﻥ ﺳﻮﻳﺪ ﺑﻦ ﻏﻔﻠﺔ ﻳﺆﻣﻨﺎ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ অর্থাৎ! হযরত আবু খুযাইব জা'ফী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। হযরত সুয়াঈদ বিন গাফলাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু রমাদান মাসে আমাদের কুড়ি রাক'আত তারাবীহের ইমামতি করতেন। {{ আত-তারীখুল কাবীর খন্ড-9 পৃষ্ঠা-28 }} ✴️ ইমাম নিমাভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, واسناده حسن অর্থাৎ! হাদিসটি হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে। {{ আসারুস সুনান }} ﻭﺭﻭﻳﻨﺎ ﻋﻦ ﺷﺘﻴﺮ ﺑﻦ ﺷﻜﻞ، ﻭﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ " ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺆﻣﻬﻢ ﻓﻲ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺑﻌﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻭﻳﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼﺙ " ﻭﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻗﻮﺓ ﻟﻤﺎ অর্থাৎ! হযরত শুতাইর বিন শাকল রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত এবং তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গীদের মধ্য হতে ছিলেন। তিনি লোকজনদের রমাদান শরীফে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ ও তিন রাক'আত বিতরের ইমামতি করতেন। {{ সুনানে কুবরা বাইহাকী খন্ড-2 পৃষ্ঠা-699 হাদিস নং-4290,, ফাযাইলি আওকাত বাইহাকী খন্ড-1 পৃষ্ঠা-276 }} ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻌﺰﻳﺰ ﺑﻦ ﺭﻓﻴﻊ ﻗﺎﻝ:ﻛﺎﻥ ﺃﺑﻲ ﺑﻦ ﻛﻌﺐ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ- ﻳﺼﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ অর্থাৎ! হযরত আব্দুল আজিজ বিন রাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত উবাই বিন কা'ব রাদিয়াল্লাহু আনহু লোকজনদের রমাদান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ পড়তেন। {{ তারগীব লি-কেওয়াম খন্ড-2 পৃষ্ঠা-368 হাদিস নং-1790 }} ✴️ বুখারী শরীফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার হযরত ইমাম বাদরুদ্দীন আইনি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ﻭﺃﻣﺎ اﻟﻘﺎﺋﻠﻮﻥ ﺑﻪ ﻣﻦ اﻟﺘﺎﺑﻌﻴﻦ: ﻓﺸﺘﻴﺮ ﺑﻦ ﺷﻜﻞ، ﻭاﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻠﻴﻜﺔ ﻭاﻟﺤﺎﺭﺙ اﻟﻬﻤﺪاﻧﻲ ﻭﻋﻄﺎء ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺭﺑﺎﺡ، ﻭﺃﺑﻮ اﻟﺒﺤﺘﺮﻱ ﻭﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ اﻟﺤﺴﻦ اﻟﺒﺼﺮﻱ ﺃﺧﻮ اﻟﺤﺴﻦ ﻭﻋﺒﺪ اﻟﺮﺣﻤﻦ اﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮاﻥ اﻟﻌﺒﺪﻱ. অর্থাৎ! তাবেঈন গণের মধ্য হতে যে সমস্ত ব্যক্তি হতে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- হযরত শুতাইর বিন শাকল, হযরত ইবনু আবী মুলাইকা, হযরত হারিস হামদানী, হযরত আতা ইবনে আবি রাবাহ, হযরত আবু বুহতারী, হযরত সাঈদ বিন আবুল হাসান বাসরী, হযরত আব্দুর রহমান বিন আবু বাকার ও হযরত ইমরান আবাদী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম। {{ উমদাতুল কারী খন্ড-11 পৃষ্ঠা-127 }} উল্লেখ্য যে, বোখারী শরীফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার আল্লামা ইমাম বাদরুদ্দীন আইনি রাহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মন্তব্য থেকে এটা দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার যে, উল্লেখিত তাবেঈন হতে গ্রহণযোগ্য সূত্রে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ প্রতীয়মান হয়েছে। নচেত তিনি হাদীস শাস্ত্রের মহা পন্ডিত হওয়ার পরেও তাদের নাম কোন ভাবেই উল্লেখ করতেন না। ⚫ ঈমান বাদরুদ্দিন আইনি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ন্যায় ইমাম হাফিজ ইবনু আব্দিল বার (ইন্তেকাল 463-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-ও বলেন, ﻭﺭﻭﻱ ﻋﺸﺮﻭﻥ ﺭﻛﻌﺔ ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﻭﺷﺘﻴﺮ ﺑﻦ ﺷﻜﻞ ﻭﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻠﻴﻜﺔ ﻭاﻟﺤﺎﺭﺙ اﻟﻬﻤﺪاﻧﻲ ﻭﺃﺑﻲ اﻟﺒﺨﺘﺮﻱ অর্থাৎ! কুড়ি রাক'আত তারাবীহ সংক্রান্ত হাদিস বর্ণিত হয়েছে- হযরত আলী, হযরত শুতাইর বিন শাকল, হযরত ইবনু আবী মুলাইকা, হযরত হারিস হামদানী ও হযরত আবু বুখতারী রাদিয়াল্লাহু আনহুম হতে। {{ আল-ইসতিজকার খন্ড-2 পৃষ্ঠা-69 সম্মানিত সুধী! এতক্ষণে আপনার অবশ্যই অবগত হয়েছেন যে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সাহাবা ও তাবেঈন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম ২০ রাক্আত তারাবীহ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু বর্তমান তথাকথিত আহলে হাদিসদের শায়েখরা বলেন, ২০ রাক্আত তারাবী সুন্নাহ সম্মত ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আল্লাহ তাআলা এ সমস্ত বিভ্রান্তকারী ও তথাকথিত আহলে হাদীস হতে আমাদের বিরত থাকার তৌফিক দান করুন এবং সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর মত ও পথ অনুসরণ করে জীবন অতিবাহিত করার তৌফিক দান করুন! وما توفيقي إلا بالله العلي العظيم ✍️ মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী সাহেব 🌍 প্রেসিডেন্ট:- সুন্নি মিশন, কুশমন্ডি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 🌍

Comments -

Most Read Articles