KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
যার কোন পীর নাই, তার পীর শয়তান উক্তিটির ভুল ব্যাখ্যা করছে কিছু মাওলানা সাহেব
'যার কোন পীর নাই, তার পীর শয়তান' উক্তিটির ভুল ব্যাখ্যা করছে কিছু মাওলানা সাহেব প্রশ্ন:- পীরের মুরীদ হওয়া কি জরুরী?* উত্তর:- না, পীরের মুরীদ হওয়া জরুরী বা আবশ্যিক নয়। কারণ, বিশেষ কোনো পীরের মুরীদ হওয়া ফরয নয়, ওয়াজিব নয় এবং সুন্নাতে মুয়াককাদা বা এমন কোনো কাজ নয় যা না করলে গুনাহ হবে এবং রোজ হাশরে জবাবদিহি করতে হবে।* *তবে হ্যাঁ, যদি কোনো শর্তযুক্ত পীর পাওয়া যায় তাহলে তাঁর হাতে হাত দিয়ে মুরীদ হওয়া অবশ্যই ভালো কাজ।* *শারেহে বুখারী, ফাক্বীহে আযম হিন্দ হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী শারীফুল হক্ব আমজাদী রহমতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি বলেন:* *"কোনো পীরের কাছে মুরীদ হওয়া না ফরয, না ওয়াজিব, না মুস্তাহাব, আর না ক্বোরআন ও হাদীসে সরাসরি তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়। হ্যাঁ, এ প্রসঙ্গে নির্ভরযোগ্য আওলিয়ায়ে কেরামের ইরশাদ সমূহ "হাদ্দে তাওয়াতুর" পর্যন্ত পৌঁছে আছে। আর আওলিয়ায়ে কেরামের ইরশাদ সমূহ দ্বারা ফরয, ওয়াজিব ও মুস্তাহাব সাব্যস্ত হতে পারে না। কিন্তু তাঁদের ইরশাদ সমূহ দ্বারা একথা নিশ্চিত রূপে প্রমাণিত হয় যে, এটি একটি পূণ্যবান কাজ।" (ফাতাওয়া শারেহে বুখারী, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং 237)* *কিন্তু সম্প্রতি কিছু লোক এই বিষয়টাতে এত জোর দিচ্ছে যে, মুরীদ না হলে বিশাল বড় কোনো গুনাহ হবে এবং শয়তানের চ্যালা হয়ে যাবে। যেমন, বলা হয় "যার কোনো পীর নাই তার পীর হল শয়তান"। এ থেকে মানুষ বুঝে যে, মুরীদ হওয়া আবশ্যিক। তা না হলে হাশরের মাঠে শয়তানের চ্যালা হয়ে উঠতে হবে।* *সর্ব প্রথম মনে রাখা উচিত যে "যার কোনো পীর নাই তার পীর হল শয়তান" এই বাক্যটি কোরআনের কোনো আয়াত অথবা কোনো হাদীস নয় বরং এটি হল সুলতানুল আরেফীন হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি তা'আলা আলাইহির একটি উক্তি। এর ভাবার্থ কোনো মতেই এটা নয় যে, যে ব্যক্তি কোনো বিশেষ পীর সাহেবের মুরীদ হল না তার পীর, ধর্মগুরু বা ধর্মীয় পরিচালক হল শয়তান। এবং শয়তানের চ্যালা হয়ে সে হাশরের মাঠে উপস্থিত হবে। যদি এটাই ভাবার্থ নেওয়া হয় তাহলে মুজাদ্দিদে আযম আলা হযরত, ইমামে ইশক্বো মুহাব্বত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরেলবী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন যে,* *"اکابر علماء و ائمہ میں ہزارہا وہ گزرے جن سے یہ بیعت خاصہ ثابت نہیں"* *অর্থাৎ:- হাজার হাজার বড় বড় ওলামা ও ইমামগণ ইহকাল ত্যাগ করেছেন, যাদের থেকে এই বিশেষ বাই'য়াত প্রমাণিত নেই। (ফাতাওয়া আফরীকা পৃষ্ঠা নং 131)* *উপরে বর্ণিত ভাবার্থ যদি নেওয়া হয় তাহলে স্বীকার করতে হবে যে, হাজার হাজার, বড় বড় আলিম-ওলামার ধর্মীয় পরিচালক শয়তান ছিল (মাআযাল্লাহ, আল্লাহ এরূপ কথা থেকে বাঁচান)।* *হযরত আল্লামা মাওলানা তাতহীর আহমদ বেরেলবী দামাত বারাকাতুহুমুল আলীয়া বলেন:* *"আজকাল গ্ৰামগঞ্জে কিছু জাহিল পীর গুজব ছড়ায়, "যে মুরীদ হবে না সে জান্নাত পাবে না"। কতিপয় জাহিল পেশাদার বক্তা যারা বক্তব্য তো দিতে পারে কিন্তু শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ নয়, তারা জালসার মধ্যে জাহিল পীরদের সন্তুষ্ট করার জন্য একথা পর্যন্ত বলে দেয় যে, যার কোনো পীর নাই তার পীর হল শয়তান। আর (কিছু) জাহিল বক্তা এটাকে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর ফরমান বলে ঘোষণা করে এবং এ থেকে প্রচলিত পীর-মুরীদী বোঝায়। সর্ব প্রথম কথা, এটা কোনো হাদীস নয়। হ্যাঁ, কিছু বুজরুগ হতে বর্ণিত আছে যে, যার কোনো পীর নাই তার পীর হল শয়তান। তো এই পীর থেকে (مرشد عام) বা সাধারণ পীরকে বোঝানো হয়েছে, (مرشد خاص) বা বিশেষ পীরকে নয়।" (গালাত ফাহমীয়া অওর উনকী ইসলাহ, পৃষ্ঠা নং 87,88 প্রকাশিত, ইসলামী কুতুব খানা, বেরেলী শরীফ)* *সাধারণ পীর বা مرشد عام এর* *সংজ্ঞা: কোরআন, হাদীস, শরীয়ত ও তরীকতের ইমামগণের মতামতকে নিজের পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্ৰহণ করা।* *বিশেষ পীর বা مرشد خاص এর সংজ্ঞা:* *বিশেষ কোনো সুন্নি সহীহুল আকীদা ওয়াল আ'মাল (যার ঈমান ও আমল উভয় সঠিক) পরিপূরক শর্তযুক্ত পীরের হাতে হাত দেওয়া। (সংগৃহীত ফাতাওয়া আফরীকা পৃষ্ঠা 123)* *যার কোনো পীর নাই তার পীর হল শয়তান একথার ভাবার্থ বলতে গিয়ে শারেহে বুখারী, ফাক্বীহে আযম হিন্দ হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী শারীফুল হক্ব আমজাদী রহমতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি বলেন:* *"একথার ভাবার্থ হল, যে ব্যক্তি সঠিক পথে পা রাখলো এবং তার কোনো পীর নেই, তাহলে শয়তান তাকে (সঠিক পথ থেকে) সরিয়ে দিতে পারে। এই অর্থ না যে, যার কোনো পীর নাই তার হাশর শয়তানের সঙ্গে হবে।" (ফাতাওয়া শারেহে বুখারী, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নং 242,243)* *প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি অবশ্যই অবগত হয়েছেন যে, মুরীদ হওয়া কোনো ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুয়াককাদা নয় বরং একটি ভালো কাজ। যা করলে ভালো, না করলে কোনো গুনাহ নেই। তৎসহ যদি কোনো ব্যক্তি ক্বোরআন, হাদীস, শরীয়ত ও তরীকতের ইমামগণের মতামতকে নিজের পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্ৰহণ করে নেয় ও তার প্রতি আমল করে, তাহলে তাকে হাশরের মাঠে বিশেষ কোনো পীরের মুরীদ না হওয়ার কারণে জবাবদিহি কোনো ভাবেই করতে হবে না। কেননা, সে সাধারণ পীর বা مرشد عام হিসাবে ক্বোরআন, হাদীস, শরীয়ত ও তরীকতের ইমামগণের মতামতকে গ্ৰহণ করে নিয়েছে। আর যার কোনো পীর নাই তার পীর হল শয়তান একথার ভাবার্থ সেটা নয় যা আজকাল অধিকাংশ বক্তা বলে থাকে বরং আসল ভাবার্থ সেটাই যেটা আপনি এই পোস্টে পাঠ করলেন।* *পরিশেষে বলি! যদি কোনো দ্বীনদার, খোদাভিরু, দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারকারী শর্তযুক্ত পীর পান, তাহলে তাঁর হাতে হাত দিয়ে মুরীদ হয়ে যান। কারণ, এতে বহু লাভ আছে, যদি আমল করতে পারেন। মুরীদ হওয়ার সময় যে কথা আপনি আপনার পীরকে দেবেন তার প্রতি আমল করূন। যেমন, পাঁচ ওয়াক্তের নামায জামাত সহকারে আদায় করা, রমজান মাসের রোযা রাখা, ধনী হলে হজ্ব আদায় করা, যাকাত দেওয়া, মিথ্যা কথা, গিবত ও চুগলী করা থেকে দূরে সরে থাকা। ইত্যাদি।* *আর যদি আপনি মনে করেন যে, পীরের মুরীদ হয়ে গেলাম, আর এদিকে নামায নাই রোযা নাই কিছুই নাই, Direct জান্নাতে চলে যাবো তাহলে এটা আপনার সম্পুর্ন ভুল ধারণা (I Think You're Totally Wrong) এ ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন এবং আকাশ থেকে নেমে জমিতে আসুন। তা না হলে হাশরের মাঠে ফেল হয়ে যাওয়ার পর আফসোস ছাড়া কিছুই করার মত থাকবে না।* *হাদীস শরীফে আছে-* *হযরত হুরাইস ইবনু ক্বাবীসা রহমতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি মাদীনায় আসলাম এবং বললাম, “হে আল্লাহ! আমাকে একজন নেককার সহযোগী দান কর”। রাবী বলেন, আমি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু-এর নিকট অবস্থান করলাম। আমি (তাঁকে) বললাম, আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট একজন উত্তম সহযোগী চাইলাম। অতএব আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন এমন একটি হাদীস আমাকে বলুন। আশা করা যায় আল্লাহ তা’আলা আমাকে এর মাধ্যমে কল্যাণ দিবেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ক্বিয়ামাতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে। যদি (নিয়মিতভাবে) ঠিকমত নামায আদায় করা হয়ে থাকে তবে সে নাজাত পাবে এবং সফলকাম হবে। যদি নামায নষ্ট হয়ে থাকে তবে সে ব্যর্থ ও বিপর্যস্ত হবে। যদি ফরয নামাযের মধ্যে কিছু কমতি হয়ে থাকে তবে মহান আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ দেখ, বান্দার কোন নফল নামায আছে কি না। থাকলে তা দিয়ে ফরযের এ ঘাটতি পূরণ করা হবে। তারপর সকল কাজের বিচার পালাক্রমে এভাবে করা হবে।* *ইবনে মাজাহ, হাদীস:-(১৪২৫, ১৪২৬)* *জামে' তিরমিযী, হাদিস নং ৪১৩* *হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।* *পড়লেন! কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম আপনাকে নামায প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হবে? এজন্য আগে আল্লাহর এবাদতে মগ্ন হয়ে যান। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে বুঝার ও তার প্রতি আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন বিজাহি সাইয়্যিদিল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।*

Comments -

Posted On: 2022-08-21
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
Posted On: 2022-08-21
Posted On: 2022-08-21
Posted On: 2022-08-21
ABDUL HALIMPosted On: 2022-08-21
Masaallah Subhanallah
Md Ahmed RezaPosted On: 2022-08-21
Darun post
Posted On: 2022-08-21
Vary important message
আব্দুল আজিজ কাদরীPosted On: 2022-08-21
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর পোস্ট
Posted On: 2022-08-21
Masha allah ❤❤❤
I'm Attuded boyPosted On: 2022-08-22
Posted On: 2022-08-23
আপনার ফোন ন দিন আমার ন 9932438358 একবার মিসকল দিন প্লীজ।
Taymur ali AlayiPosted On: 2022-08-26
ماشاءاللہ بہت خوب
Most Read Articles