KeyOfIslam
Welcome To KeyOfIslam.com. KeyOfIslam is the platform to spread love and brotherhood among all people through the light of Prophet Mohammad(peace be upon him), the Final Messanger of Allah. Here you will get informations with precision.
Individual Articles
রুকুর সময় রাফউল ইয়াদাইন করার সঠিক সমাধান (পর্ব-১), রুকুর সময় রাফউল ইয়াদাইন করা কি আবশ্যক ?
রুকুতে যাবার সময় এবং রুকু থেকে উঠার সময় 'রাফউল ইয়াদাইন' করবেন না কেন? 🌼بسم الله الرحمن الرحيم 🌼 نحمده و نصلى على رسوله الكريم أما بعد সম্মানিত সুধী! ইসলাম শরীয়তে বহু এমন কর্ম ও আমল রয়েছে যা পূর্বে জায়েজ ছিল কিন্তু পরক্ষনে তা না-জায়েজ হয়েছে অথবা পূর্বে সে আমলটি করা হতো পরক্ষণে সেই আমল কে রহিত ও পরিত্যাগ করা হয়েছে। তেমনি নামাজে রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু থেকে ওঠার সময় 'রাফউল ইয়াদাইন' (হাত তোলা) করা রোহিত ও মানসুখ হয়ে গেছে। অর্থাৎ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বে এই আমলটি করতেন কিন্তু পরক্ষণে এই আমলটি করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাই 'রাফ'উল ইয়াদাইন' করাটা মুস্তাহাব নয় বরং রাফউল ইয়াদাইন না করাটাই মুস্তাহাব, যা বহু হাদিস থেকে প্রমাণিত। নিম্নে তন্মধ্যে কিছু হাদিস তুলে ধরা হলো- أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لَمِنْ حَمِدَهُ‏.‏ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ، ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ـ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ ‏{‏بْنُ صَالِحٍ عَنِ اللَّيْثِ‏}‏ وَلَكَ الْحَمْدُ ـ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ، ثُمَّ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى يَقْضِيَهَا، وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الثِّنْتَيْنِ بَعْدَ الْجُلُوسِ‏.‏ অর্থাৎ! আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ আরম্ভ করার সময় দাঁড়িয়ে তাক্বীর বলতেন। অতঃপর রুকূ‘তে যাওয়ার সময় তাক্বীর বলতেন, আবার যখন রুকূ‘ হতে পিঠ সোজা করে উঠতেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد বলতেন। অতঃপর সাজদাহ্য় যাওয়ার সময় তাক্বীর বলতেন। এবং যখন মাথা উঠাতেন তখনও তাক্বীর বলতেন। আবার (দ্বিতীয়) সাজদাহ্য় যেতে তাক্বীর বলতেন এবং পুনরায় মাথা উঠাতেন তখনও তাক্বীর বলতেন। এভাবেই তিনি পুরো সালাত শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাক‘আতের বৈঠক শেষে যখন (তৃতীয় রাক‘আতের জন্য) দাঁড়াতেন তখনও তাক্বীর বলতেন। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু সালিহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু লাইস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করতে وَلَكَ الْحَمْدُ  উল্লেখ করেছেন। {{ সহীহ বুখারি হাদিস নং-789,, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং-2496,, মুসনাদে আহমদ হাদিস নং-9851,, সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-1158,, শারহুস সুন্নাহ খন্ড-3 পৃষ্ঠা-91,, বুলুগুল মারাম হাদিস নং-293 }} عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ: ((سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ)). حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ: ((رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ)). ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يَفْعَلُ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى يَقْضِيَهَا وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْمَثْنَى بَعْدَ الْجُلُوسِ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. অর্থাৎ! আবূ বাকর ইবনু আবদুর রহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজে দাঁড়াতেন 'আল্লাহু আকবার' বলে নামাজ শুরু করতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকু’তে যেতেন। তিনি রুকু থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানাের সময় سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার কথা শুনে থাকেন) বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ (হে আল্লাহ! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা) বলতেন। তিনি সাজদাতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। সাজদাহ থেকে মাথা তোলার সময়ও তাকবীর বলতেন। প্রত্যেক রাক'আতে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত তিনি এরূপই করতেন। দ্বিতীয় রাকাআতে বসার পর ওঠার সময়ও তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুরূপ নামাজ আদায় করতে পারি। {{ সহীহ মুসলিম হাদিস নং-894,, মুসনাদুল বাজ্জার হাদিস নং-8094,, সহীহ ইবনে খুযাইমা হাদিস নং-578,, শারহুস সুন্নাহ খন্ড-3 পৃষ্ঠা-91,, মিশকাতুল মাসাবিঃ হাদিস নং-799,, বুলুগুল মারাম হাদিস নং-293 }} «785» حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ، فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ، فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ: إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. অর্থাৎ! হযরত আবু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। হযরত আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদেরকে নামাজ পড়াতেন। অতএব প্রত্যেক নামা ও উঠার সময় তিনি তাকবীর পাঠ করতেন। অতঃপর যখন তিনি নামাজ থেকে ফারেগ হতেন, বলতেনঃ নিশ্চয় আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুরূপ নামাজ আদায় করতে পারি। {{সহীহ বুখারী শরীফ হাদীস নং-৭৮৫,, ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ، ﻗﺎﻝ: ﺃﻧﺎ ﺃﺷﺒﻬﻜﻢ ﺻﻼﺓ ﺑﺮﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫا ﻗﺎﻝ: «ﺳﻤﻊ اﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ» ، ﻗﺎﻝ: «ﺭﺑﻨﺎ ﻭﻟﻚ اﻟﺤﻤﺪ» ، ﻭﻛﺎﻥ ﻳﻜﺒﺮ ﺇﺫا ﺭﻛﻊ، ﻭﺇﺫا ﺭﻓﻊ ﺭﺃﺳﻪ، ﻭﺇﺫا ﻗﺎﻡ ﻣﻦ اﻟﺴﺠﺪﺗﻴﻦ، ﻗﺎﻝ: «اﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ» অর্থাৎ! হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুরূপ নামাজ আদায় করতে পারি। নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন 'সামীয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ্' পাঠ করতেন তখন 'রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ্' পাঠ করতেন। এবং তিনি যখন রুকু করতেন, রুকু থেকে মাথা উঠাতেন ও দুই সাজদাহ হতে দাঁড়াতেন তখন 'আল্লাহু আকবার' বলে তাকবীর দিতেন। {{ মুসনাদ আহমাদ হাদিস নং-8253,, ✴️ বিশেষ দ্রষ্টব্য:- বোখারী, মুসলিম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ হাদিস গ্রন্থসমূহ হতে সংকলিত উপরোক্ত হাদিসের বর্ণনাকারী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর পুরো নামাজের বর্ণনা দিয়েছেন, কিন্তু এই বর্ণনায় রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকু থেকে উঠার সময় 'রাফউল ইয়াদাইন' করার বর্ণনা উল্লেখ করেননি। যা থেকে পরিষ্কার প্রতীয়মান হয় যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদিও পূর্বে 'রাফউল ইয়াদাইন' করতেন কিন্তু পরক্ষণে রাফউল ইয়াদাইন পরিত্যাগ করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমার নিম্নোক্ত হাদীসসমূহও এই অর্থকেই প্রমাণ করছে। حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا أَبِي وَبَقِيَّةُ عَنْ شُعَيْبٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ وَغَيْرِهَا يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ يَقُولُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْجُلُوسِ فِي اثْنَتَيْنِ فَيَفْعَلُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ حَتَّى يَفْرُغَ مِنَ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَنْصَرِفُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَتْ هَذِهِ لَصَلاَتُهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا الْكَلاَمُ الأَخِيرُ يَجْعَلُهُ مَالِكٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَغَيْرُهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ وَوَافَقَ عَبْدُ الأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ شُعَيْبَ بْنَ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ. অর্থাৎ! হযরত আবূ বাকর ইবনু আব্দুর রহমান এবং আবূ সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তারা বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু ফরয ও অন্যান্য নামাজ আদায়ের সময় দাঁড়ানো ও রুকূ করাকালে তাকবীর বলতেন। অতঃপর তিনি দাড়িয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলার পর “রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ” বলতেন সিজদায় যাওয়ার পূর্বে। অতঃপর সিজদায় যেতে “আল্লাহু আক্বার” বলতেন। সিজদা হতে মাথা উত্তোলন এবং পুনরায় সিজদায় গমনকালে তিনি তাকবীর বলতেন, অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠাবার সময় তাকবীর বলতেন। দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠক হতে দন্ডায়মান হবার সময়ও তিনি “আল্লাহু আকবার” বলতেন। প্রত্যেক রাকাতেই “আল্লাহু আকবার” বলতেন। নামাজান্তে তিনি বলতেনঃ আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন! তোমাদের তুলনায় আমার নামাজ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজের সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত এরূপে নামাজ আদায় করেন। ইমাম আবূ দাউদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইমাম মালেক আলী ইবনু হুসাইনের সূত্রে এটাকে সর্বশেষ বাক্য বলেছেন। আব্দুল আলা যুহরীর সূত্রে এ ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন। {{ সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং-836 }} {{ সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং-2494 }} عن أبي سلمة عن أبي هريرة أنه كان يصلي بهم، فيكبر كلما خفض ورفع، فإذا انصرف قال: إني لأشبهكم صلاة برسول الله صلى الله عليه وسلم. অর্থাৎ! আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি তাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন এবং প্রতিবার উঠা বসার সময় তাকবীর বলতেন। নামাজ শেষ করে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে আমার নামাজই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামাজের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। {{ সহীহ বুখারী হাদিস নং-785,, সহীহ মুসলিম হাদিস নং-893,, মুসনাদে আহমদ হাদিস নং-7220,, মুসনাদুল বাজ্জার হাদিস নং-7868,, সুনানে কোবরা নাসাঈ হাদিস নং-745,, সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং-2491,, মুআত্তা মালিক হাদিস নং-248 }} عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ صَلَّى مَعَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِالْبَصْرَةِ فَقَالَ ذَكَّرَنَا هَذَا الرَّجُلُ صَلاَةً كُنَّا نُصَلِّيهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَفَعَ وَكُلَّمَا وَضَعَ. অর্থাৎ! হযরত ইমরান বিন হুস্বাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে বাসরায় নামাজ আদায় করলেন। তিনি বললেনঃ এই ব্যক্তি আমাদেরকে সেই নামাজ স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহিত আদায় করতাম। অতঃপর তিনি উল্লেখ করলেনঃ নিশ্চয়ই তিনি তাকবীর পাঠ করতেন যখন যখন মাথা তুলতেন ও মাথা রাখতেন। {{ সহীহ বুখারী হাদীস নং-৭৮৪,, عَنْ مُطَرِّفٍ قَالَ صَلَّيْتُ أَنَا وَعِمْرَانُ صَلاَةً خَلْفَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَكَانَ إِذَا سَجَدَ كَبَّرَ، وَإِذَا رَفَعَ كَبَّرَ، وَإِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَخَذَ عِمْرَانُ بِيَدِي فَقَالَ: لَقَدْ صَلَّى بِنَا هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَوْ قَالَ: لَقَدْ ذَكَّرَنِي هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. অর্থাৎ! হযরত মুত্বার্রিফ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং ইমরান হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে নামায আদায় করলাম। অতএব তিনি যখন সাজদা করতেন তাকবীর পাঠ করতেন এবং যখন সাজদা থেকে মাথা তুলতেন তাকবীর পাঠ করতেন আর যখন রুকু হতে উঠতেন তখনও তাকবীর পাঠ করতেন। অতঃপর যখন তিনি সালাম ফিরালেন ইমরান আমার হাত ধরে বললো নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজ আমাদের পড়িয়েছেন অথবা বললো নিশ্চয়ই এ ব্যক্তি আমাদেরকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। {{ সহীহ বুখারী শরীফ হাদীস নং-৮২৬,, সহীহ মুসলিম হাদীস নং-৮৯৯,, মুসনাদ আহমাদ হাদীস নং-১৯৯৫২,, সুনান কুবরা বাইহাকী হাদীস নং-২৮০৪,, আবু দাউদ হাদীস নং-৮৩৫,, সুনান নাসাঈ হাদীস নং-১০৯০ }} عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُ فِي كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ وَقِيَامٍ وَقُعُودٍ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ‏ অর্থাৎ! আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, (নামাযরত অবস্থায়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেকবার উঠা, নীচু হওয়া, দাড়ানো ও বসার সময় 'আল্লাহু আকবার’ বলতেন। আবু বাকার এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা-ও এরূপ আমল করতেন। {{ সুনানে তিরমিজি হাদিস নং-254,, সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-1157 }} ✴️উপরোক্ত হাদিস বর্ণনা করার পর ইমাম তিরমিজি রহমতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন- حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَغَيْرُهُمْ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَعَلَيْهِ عَامَّةُ الْفُقَهَاءِ وَالْعُلَمَاءِ ‏.‏ অর্থাৎ! হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর হাদিসটি হাসান সহীহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবা যেমন আবু বাকর, উমার, উসমান ও আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম, তাদের পরবর্তীগণ এবং সমস্ত ফিকহবিদ ও বিশেষজ্ঞ আলিমগণ এ হাদিস অনুযায়ী আমল করেছেন। {{ সুনানে তিরমিজি হাদিস নং-254 }} ✴️তাছাড়া নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ হতেও সুস্পষ্ট প্রমাণিত ও প্রতীয়মান হয় যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম শুধু তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উত্তোলন (রাফউল ইয়াদাইন') করতেন অতঃপর কোন স্থানে আর হাত তুলতেন না। 626 - ﺣﺪﺛﻨﺎ اﻟﺤﻤﻴﺪﻱ ﻗﺎﻝ: ﺛﻨﺎ اﻟﺰﻫﺮﻱ، ﻗﺎﻝ: ﺃﺧﺒﺮﻧﻲ ﺳﺎﻟﻢ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ، ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ، ﻗﺎﻝ: «ﺭﺃﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫا اﻓﺘﺘﺢ اﻟﺼﻼﺓ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺬﻭ ﻣﻨﻜﺒﻴﻪ، ﻭﺇﺫا ﺃﺭاﺩ ﺃﻥ ﻳﺮﻛﻊ، ﻭﺑﻌﺪ ﻣﺎ ﻳﺭﻓﻊ ﺭﺃﺳﻪ ﻣﻦ اﻟﺮﻛﻮﻉ ﻓﻼ ﻳﺮﻓﻊ ﻭﻻ ﺑﻴﻦ اﻟﺴﺠﺪﺗﻴﻦ অর্থাৎ! হযরত সালিম বিন আব্দুল্লাহ নিজ পিতা আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি নাবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রত্যক্ষ করলাম, তিনি যখন নামাজ শুরু করতেন উভয় হাতকে স্কন্দ বরাবর উত্তোলন করতেন এবং যখন রুকু করার ইরাদা করতেন ও যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখন রাফউল ইয়াদাইন করতেন না, আর না দুই সাজদার মাঝখানে রাফউল ইয়াদাইন করতেন। {{ মুসনাদ হুমাইদী ১/৫১৫ হাদীস নং-৬২৬,, 🌼বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদিয়াল্লাহু তা'লা আনহুমা হতেই বহু হাদিস গ্রন্থে রাফউল ইয়াদাইন সংক্রান্ত হাদিস বর্ণিত হয়েছে অথচ উক্ত হাদীসে তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকু থেকে উঠার সময় রাফউল ইয়াদাইন করতেন না। যা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদিও পূর্বে রাফউল ইয়াদাইন করতেন কিন্তু পরক্ষনে তিনি তা পরিত্যাগ করেছেন। অতএব রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকু থেকে উঠার সময় রাফউল ইয়াদাইন না করাটাই শ্রেয়। ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ اﻟﻨﻌﻤﺎﻥ اﻟﺴﻘﻄﻲ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﻳﺤﻴﻰ اﻟﻨﻴﺴﺎﺑﻮﺭﻱ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻭﻛﻴﻊ، ﻋﻦ ﺳﻔﻴﺎﻥ، ﻋﻦ ﻋﺎﺻﻢ ﺑﻦ ﻛﻠﻴﺐ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ اﻷﺳﻮﺩ، ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ، ﻋﻦ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ: " ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺮﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﺗﻜﺒﻴﺮﺓ، ﺛﻢ ﻻ ﻳﻌﻮﺩ " ﻭﻫﺬا ﻣﻤﺎ ﻻ اﺧﺖﻻﻓ ﻋﻦ اﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻓﻴﻪ. অর্থাৎ! হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া শুধু প্রথম তাকবীরে ( তাকবীরে তাহরীমা )-এ হাত উত্তোলন করতেন অতঃপর আর হাত উত্তোলন করতেন না। (ইমাম ত্বাহাবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন) হাদিস টি ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এতে কারো মতভেদ নেই। {{ শারহু মুশকিলিল আসার খন্ড-15 পৃষ্ঠা-35 হাদিস নং-5826,, শরহে মাআনিল আছার খন্ড 1 পৃষ্ঠা 224 হাদিস নং-1349,, عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ. অর্থাৎ! আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের (নিয়মে) নামাজ আদায় করে দেখাব না? তিনি (আবদুল্লাহ) নামাজ আদায় করলেন, কিন্তু প্রথম বার (তাকবীরে তাহরীমার সময়) ছাড়া আর কোথাও রাফউল ইয়াদাইন করেননি।(হাদিসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে) {{ সুনান তিরমিজি হাদিস নং-258,, মুসনাদে আহমদ হাদিস নং-3681,, ইত্তেহাফুল মাহরাহ হাদিস নং-13009,, মুস্নাদ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-1 পৃষ্ঠা-229 হাদিস নং- 323,, সুনানি কুবরা নাসাঈ হাদিস নং-649 }} ✴️ইমাম তিরমিজি রহমতুল্লাহি আলাইহি এই হাদিসের পরিচ্ছেদ নিম্নরূপ বেঁধেছেন- باب مَا جَاءَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَرْفَعْ إِلاَّ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ: অর্থাৎ!-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথমবার ব্যতীত নামাজে আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন করেননি। {{ সুনানে তিরমিজি প্রথম খন্ড }} ✴️উপরোক্ত হাদিস বর্ণনা করার পর ইমাম তিরমিজি রাহমতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন- وَفِي الْبَابِ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ. قَالَ أَبُو عِيسَى: حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ. وَبِهِ يَقُولُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالتَّابِعِينَ. وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ. অর্থাৎ! এ অনুচ্ছেদে বারায়া ইবনু আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু মাসউদের হাদিসটি হাসান। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বহু সাহাবা ও তাবিঈন এ হাদীসের অনুকূলে মত দিয়েছেন। ইমাম সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী ইমামগণ এই মত গ্রহণ করেছেন। {{ সুনানে তিরমিযী }} عن علقمة قال: قال عبد الله بن مسعود ألا أصلي بكم صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فصلى فلم يرفع يديه إلا مرة. অর্থাৎ!! আলকামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি কি তোমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামাজ কিরূপ ছিল তা শিক্ষা দেব না? বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি নামাজ আদায় করলেন এবং তাতে কেবলমাত্র একবার হাত উত্তোলন করলেন।((হাদিসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে)) {{ সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং-748,, সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-1058,, মুসনাদে আবী ইয়ালা হাদিস নং-5302,, সুনানে কুবরা বাইনারি হাদিস নং-2531,, মিশকাত শরীফ হাদিস নং-809 }} ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ، ﻗﺎﻝ: ﺃﻻ ﺃﺭﻳﻜﻢ ﺻﻼﺓ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭسلم؟ «ﻓﻟﻢ ﻳﺮﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺇﻻ ﻣﺮﺓ» অর্থাৎ! হযরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত। হযরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, কি তোমাদেরকে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামাজ দেখাবো না? অতঃপর তিনি একবার (তাকবীরে তাহরীমা,) ছাড়া আর কোথাও রাফা-ইয়াদাইন করলেন না। {{ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা 1/213 হাদিস নং- 2441 }} ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺯﻫﻴﺮ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻭﻛﻴﻊ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﻋﻦ ﻋﺎﺻﻢ ﺑﻦ ﻛﻠﻴﺐ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ اﻷﺳﻮﺩ، ﻋﻦ ﻋﻠﻘﻤﺔ ﻗﺎﻝ: ﻗﺎﻝ اﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ: "ﺃﻻ ﺃﺻﻠﻲ ﺑﻜﻢ ﺻﻼﺓ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ؟ ﻗﺎﻝ: ﻓﺼﻠﻰ ﺑﻬﻢ ﻓﻠﻢ ﻳﺮﻓﻊ ﻳﺪﻩ ﺇﻻ ﻣﺮﺓ "ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ অর্থাৎ! হযরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি কি তোমাদেরকে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নামাজ আদায় করে দেখাব না? বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি তাদের নামাজ পড়ালেন এবং একবার ব্যতীত নিজের হাত উত্তোলন করলেন না। {{ মুসনাদ আবি ইয়ালা খন্ড-8 পৃষ্ঠা-453 হাদিস নং-5040,, (( হাদিসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে )) 🌼 বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হলেন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ সাহাবাগণের মধ্যে অন্যতম এবং সর্বপ্রথম ঈমান গ্রহণকারীদের মধ্যে গণ্য। তিনি বাড়ি ও সফর সর্বদা ও সর্বস্থানে নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সংস্পর্শে থাকার মোবারক মর্যাদা পেয়েছিলেন। নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের দরবারে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা তার জন্যই বৈধ ছিল। কিছু সাহাবা কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম বলেন, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের উঠা বসা ও চলাফেরা ইত্যাদি বিষয়াদিতে তার থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ অন্য কোন সাহাবী ছিলেন না। (হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে) নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজেই ইরশাদ করেন, رضیت لا متی ما رضی لھا ابن ام عبد و کرھت لامتی ماکرہ لہا ابن ام عبد অর্থাৎ! আমি আমার উম্মতের জন্য সেটাই পছন্দ করেছি যা আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ তাদের জন্য পছন্দ করেছে। আর আমি আমার উম্মতের জন্য সেটা অপছন্দ করেছি যা আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ তাদের জন্যও অপছন্দ করেছে। {{ মাজমাউয যাওয়াইদ খন্ড-৯ পৃষ্ঠা-২৯০ ماجاء فی عبد اللہ بن مسعود বর্ণনা,, ফাযাইলে সাহাবা খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৮৩৮ হাদীস নং-১৫৩৬ ﻓﻀﺎﺋﻞ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ বর্ণনা,, মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ খন্ড-৬ পৃষ্ঠা-২৮৪ হাদীস নং-৩২২৩১ ﻣﺎ ﺫﻛﺮ ﻓﻲ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ বর্ণনা,, মুসনাদুল বাজ্জার খন্ড-৫ পৃষ্ঠা-৩৫৪ হাদীস নং-১৯৮৬,, আল-মুস্তাদরাক খন্ড-৩ পৃষ্ঠা-৩৫৯ হাদীস নং-৫৩৮৭ ﺫﻛﺮ ﻣﻨﺎﻗﺐ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ বর্ণনা }} 🌼 ইমাম হাকিম রাহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- ﻫﺬا ﺇﺳﻨﺎﺩ ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ اﻟﺸﻴﺨﻴﻦ অর্থাৎ! উক্ত সনদটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। {{আল-মুস্তাদরাক খন্ড-৩ পৃষ্ঠা-৩৫৯}} উপরোক্ত হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মত ও পছন্দই হল নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মত ও পছন্দ। আর পূর্বে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'লা আনহু প্রসঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত সনদে বর্ণিত হাদিস সমুহ হতে স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয়েছে যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'লা আনহু রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকু থেকে উঠার সময় রাফউল ইয়াদাইন করতেন না। যা থেকে দিবালোকের ন্যায় প্রতীয়মান হলো রাফউল ইয়াদাইন না করাটাই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বশেষ আমল ও সুন্নত। নচেত নচেত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কখনোই রাফউল ইয়াদাইন পরিত্যাগ করতেন না। ✍️ আল্লামা মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী 🌎কুশমন্ডি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত 🌎

Comments -

R AliPosted On: 2022-10-26
Nice
A k azadPosted On: 2022-10-27
Alhamdulillah. Zazakallah.
Golam Mustafa AshrafiPosted On: 2022-10-28
Assalamualaikum wa Rahmatullah wa Barakatuhu Huzur janar bisoi chhilo je Prothom e nabi paak Raf ul yadain kno kore6ilen? Ebong porobortite kno baad dilen?
Most Read Articles