নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতদিন ও কত রাক'আত তারাবীহ পড়েছেন?
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু কয়েকদিন জামাতসহ তারাবীহ আদায় করেন
عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ لَيْلَةً مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ، وَصَلَّى رِجَالٌ بِصَلاَتِهِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا، فَاجْتَمَعَ أَكْثَرُ مِنْهُمْ، فَصَلَّوْا مَعَهُ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا، فَكَثُرَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى، فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ، فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ، حَتَّى خَرَجَ لِصَلاَةِ الصُّبْحِ، فَلَمَّا قَضَى الْفَجْرَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَتَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ: ((أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَيَّ مَكَانُكُمْ، وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْتَرَضَ عَلَيْكُمْ فَتَعْجِزُوا عَنْهَا
অর্থাৎ! হযরত আয়িশাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গভীর রাতে বের হয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন, কিছু সংখ্যক পুরুষ তাঁর পিছনে নামাজ আদায় করেন। সকালে লোকেরা এ সম্পর্কে আলোচনা করেন, ফলে লোকেরা অধিক সংখ্যায় সমবেত হন। তিনি নামাজ আদায় করেন এবং লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। সকালে তাঁরা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তৃতীয় রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। এরপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বের হয়ে নামাজ আদায় করেন ও লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। চতুর্থ রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংকুলান হল না, কিন্তু তিনি রাতে আর বের না হয়ে ফজরের নামাজে বেরিয়ে আসলেন এবং নামাজ শেষে লোকদের দিকে ফিরে প্রথমে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়ার পর বললেনঃ শোন! তোমাদের (গতরাতের) অবস্থান আমার অজানা ছিল না, কিন্তু আমি এই নামাজ তোমাদের উপর ফরজ হয়ে যাবার আশংকা করছি (বিধায় বের হই নাই)। কেননা তোমরা তা আদায় করায় অপারগ হয়ে পড়তে।
{{ সহীহ বুখারী হাদিস নং-2012,, সহীহ মুসলিম হাদিস নং-1820 }}
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ: ((قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ)). قَالَ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ.
অর্থাৎ! হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাতে মসজিদে নামাজ আদায় করলেন। তখন তাঁর সঙ্গে লোকজন নামাজ আদায় করল। এরপর পরবর্তী রাতে তিনি নামাজ আদায় করলেন এতে বহু লোক হল। পরে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতেও তাঁরা সমবেত হলেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের দিকে বের হলেন না। পরে সকালে তিনি বললেন, তোমরা যা করেছ তা তো আমি দেখেছি। তোমাদের কাছে বের হয়ে আসতে আমাকে শুধু এ ই বাধা দিয়েছে যে, আমি আশংকা করছিলাম যে, সে নামাজ তোমাদের উপর ফরয হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনা রমযানের।
{{ সহীহ মুসলিম হাদিস নং-1819 }}
((হাদিসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে))
💞 নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করতেন 💞
✴️ প্রিয় পাঠকবৃন্দ! উপরোক্ত হাদিসদ্বয় হতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোটা রমাদান মাসে জামাতের সহিত তারাবীহ নামাজ আদায় করেন নি বরং দুই অথবা তিন দিন জামাতের সহিত নামাজ আদায় করে তা ফরজ হয়ে যাবার আশংকায় জামাতের সহিত তারাবীহের নামাজ পরিত্যাগ করেছেন। অতঃপর উমার বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর খিলাফতকাল পর্যন্ত সাহাবায়ে কেরাম একাকী ও বিক্ষিপ্ত আকারে তারাবীহের নামাজ আদায় করতে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কত রাকাআত তারাবীহের নামাজ আদায় করতেন? এ প্রসঙ্গে উলামায়ে কেরামের মধ্যে মতানৈক্য পরিলক্ষিত হলেও কিছু ইমামগণের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও হাদিস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ রাক'আত তারাবীহের নামাজ আদায় করতেন।
✴️ যেমন হযরত ইমাম ফাক্বীহ আবুল খাইর ইমরানী শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি (ইন্তেকাল 558-হিঃ) উপরোক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﻋﻠﻲ ﻓﻲ " اﻹﻓﺼﺎﺡ ": ﻭﺭﻭﻱ: «ﺃﻥ اﻟﻨﺒﻲ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺻﻠﻰ ﺑﻬﻢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻓﻲ اﻟﻠﻴﻠﺔ اﻷﻭﻟﻰ، ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ اﻟﻠﻴﻠﺔ اﻟﺜﺎﻧﻴﺔ ﺧﺮﺝ، ﻓﺎﺟﺘﻤﻊ اﻟﻨﺎﺱ ﺇﻟﻴﻪ، ﻭﻛﺜﺮﻭا، ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ اﻟﻠﻴﻠﺔ اﻟﺜﺎﻟﺜﺔ. . اﺟﺘﻤﻊ اﻟﻨﺎﺱ، ﻓﻠﻢ ﻳﺨﺮﺝ ﺇﻟﻴﻬﻢ، ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ اﻟﻐﺪ. ﻗﺎﻝ: ﻗﺪ ﻋﺮﻓﺖ اﺟﺘﻤﺎﻋﻜﻢ، ﻭﻟﻜﻦ ﻟﻢ ﻳﻤﻨﻌﻨﻲ ﻣﻦ اﻟﺨﺮﻭﺝ ﺇﻻ ﻣﺨﺎﻓﺔ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺽ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻓﺘﻌﺠﺰﻭا ﻋﻨﻬﺎ
অর্থাৎ! হযরত আবু আলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি "আল-ইফস্বাহ" গ্রন্থে বলেন, বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম রাত্রিতে তাদেরকে কুড়ি রাক'আত তারাবীহের নামাজ পড়িয়েছেন। অতঃপর যখন দ্বিতীয় রাত্রিতে তিনি বের হলেন লোকজন তাঁর সঙ্গে একত্রিত হলেন এবং লোকজনের সংখ্যা বৃদ্ধি হল। অতঃপর তৃতীয় রাত্রিতে লোকজন একত্রিত হলেন কিন্তু তিনি তাদের নিকট আসেননি। পরের দিন সকালে তিনি বলেন, আমি তোমাদের একত্রিত হওয়া প্রসঙ্গে অবগত ছিলাম, কিন্তু আমি এই আশঙ্কায় বের হইনি যে তোমাদের প্রতি রমাদান মাসে এই নামাজ টি ফরজ করে দেওয়া হবে যা আদায় করতে তোমরা সক্ষম হবে না।
{{ আল-বায়ান লি-মাযহাবি ইমাম শাফেয়ী খন্ড-2 পৃষ্ঠা-275 }}
✴️ ইমাম আবুল কাসিম আব্দুল কারীম বিন মুহাম্মাদ রাফেয়ী কাযবিনী (ইন্তেকাল 623-হিঃ) রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺻﻼﺓ اﻟﺘﺮاﻭﻳﺢ ﻋﺸﺮﻭﻥ ﺭﻛﻌﺔ ﺑﻌﺸﺮ ﺗﺴﻠﻴﻤﺎﺕ ﻭﺑﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭاﺣﻤﺪ ﻟﻤﺎ ﺭﻭﻯ اﻥ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ " ﺻﻠﻲ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻟﻴﻠﻴﺘﻴﻦ ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﻓﻲ اﻟﻠﻴﻠﺔ اﻟﺜﺎﻟﺜﺔ اﺟﺘﻤﻊ اﻟﻨﺎﺱ ﻓﻠﻢ ﻳﺨﺮﺝ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ اﻟﻐﺪ ﺧﺸﻴﺖ اﻥ ﺗﻔﺮﺽ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﻓﻼ ﺗﻄﻴﻘﻮﻧﻬﺎ "
অর্থাৎ! তারাবীহ নামাজ হলো দশ সালামের সহিত কুড়ি রাক'আত। আর এই মত পোষণ করেছেন (ফিক্বাহ শাস্ত্রের জনক) ইমাম আবু হানিফা ও (প্রায় দশ লাখ হাদিসের হাফিজ) ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমা। কারণ বর্ণিত হয়েছে নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকজনদের দুই রাত্রী কুড়ি রাক'আত তারাবীহ পড়িয়েছেন ও তৃতীয় রাত্রিতে যখন লোকজন একত্রিত হন তিনি তাদের নিকট বের হন নি। অতঃপর পরের দিন সকালে তিনি বলেন, আমার ভয় হয় তোমাদের প্রতি এই নামাজ ফরজ করে দেওয়া হবে যা তোমরা আদায় করতে সক্ষম হবে না।
{{ ফাতহুল আযীয বি-শারহিল ওয়াজীয খন্ড-4 পৃষ্ঠা-264 }}
ﺭﻭﻱ «ﺃﻧﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺧﺮﺝ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻦ ﻟﻴﺎﻟﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺻﻠﻰ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻧﺖ اﻟﻠﻴﻠﺔ اﻟﺜﺎﻧﻴﺔ اﺟﺘﻤﻊ اﻟﻨﺎﺱ ﻓﺨﺮﺝ ﻭﺻﻠﻰ ﺑﻬﻢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ، ﻓﻠﻤﺎ ﻛﺎﻧﺖ اﻟﻠﻴﻠﺔ اﻟﺜﺎﻟﺜﺔ ﻛﺜﺮ اﻟﻨﺎﺱ ﻓﻠﻢ ﻳﺨﺮﺝ - ﻋﻠﻴﻪ اﻟﺼﻼﺓ ﻭاﻟﺴﻼﻡ
অর্থাৎ! বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয়ই নিবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদান মাসের কোন এক রাতে মসজিদে গিয়ে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করেন। দ্বিতীয় রাত্রিতে লোকজন একত্রিত হন এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বের হয়ে তাদেরকে কুড়ি রাক'আত নামাজ পড়ান। অতঃপর তৃতীয় রাত্রিতে লোকজন অনেক বেশি হয়ে যান। এবং নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে রাত্রে নামাজ পড়ানোর জন্য আর বের হয়ে আসলেন না। (এরপর পূর্বের ন্যায় বর্ণিত হয়েছে)
{{ ইনায়াহ শারহুল হিদায়াহ খন্ড-১ পৃষ্ঠা-৪৬৮}}
✴️ এছাড়া নিম্নোক্ত দুটি হাদিস থেকেও প্রতীয়মান হয় যে, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদান মাসে কুড়ি রাক'আত তারাবীহ আদায় করতেন।
ﻋﻦ اﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، «ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭاﻟﻮﺗﺮ
অর্থাৎ! হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত।(তিনি বলেন) নিশ্চয়ই নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদান মাসে বিশ রাক'আত তারাবীহ ও (তিন রাক'আত) বিতর নামাজ আদায় করতেন।
{{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা খন্ড-2 পৃষ্ঠা-164 হাদিস নং-7692,, মুজামে কাবীর তাবরানী খন্ড-11 পৃষ্ঠা-393,, মুজামে আওসাত তাবরানী খন্ড-5 পৃষ্ঠা-324 হাদিস নং-5440,, আল- ইযতিযকার খন্ড-2 পৃষ্ঠা-69,, সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং-4286,, তারীখে বাগদাদ খন্ড-7 পৃষ্ঠা-21,, মাজমাউয যাওয়াঈদ হাদিস নং-5018 }}
ﻋﻦ اﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﺃﻥ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﺳﻮﻯ اﻟﻮﺗﺮ
অর্থাৎ! হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত। নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদান মাসে বিতর ব্যতীত কুড়ি রাক'আত তারাবীহ নামাজ আদায় করতেন।
{{ মুজামে আওসাত তাবরানী খন্ড-1 পৃষ্ঠা-243 হাদিস নং-798,, মুনতাখাব মিন মুসনাদ আবদ হামীদ খন্ড-1 পৃষ্ঠা-218 হাদিস নং-653, মিরকাত খন্ড-3 পৃষ্ঠা-973 }}
✴️ সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত উপরোক্ত দুটি হাদিস যদিও অধিকাংশ মুহাদ্দিসগনের মতে জ্বয়ীফ সনদে বর্ণিত হয়েছে তথাপি হাদিস দুটি আমলযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য। কারণ উপরোক্ত হাদীস দুটি জাল ও বানোয়াট নয় এবং তারাবীহ প্রসঙ্গে এই হাদিসদ্বয়ের বিপক্ষে কোন সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়নি। আর যে প্রসঙ্গে কোন সহীহ হাদিস থাকবে না সে প্রসঙ্গে জ্বয়ীফ হাদিস আমলযোগ্য হবে। তাছাড়া নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতীগণ এ হাদিসের প্রতি আমল করেছেন এবং ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ কুড়ি রাক'আত তারাবীহ এর উপর একমত হয়েছেন। সুতরাং হাদিসটি যদিও জ্বয়ীফ তথাপি হাদিসের উপর উম্মতের আমল থাকার কারণে হাদিসটি গ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হবে।
والله اعلم بالصواب
✍️ মুফতী আমজাদ হুসাইন সিমনানী সাহেব,
🌍কুশমান্ডি, দিনাজপুর🌍
Comments -